গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া থেকে ফিরে :::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া ষ্টেশন সংলগ্ন বরইতলী বনবিটের রিজার্ভ বনভুমিতে অবৈধ বসতঘর-স্থাপনা নির্মানের হিড়িক পড়েছে। সরকারী দলের কর্মি পরিচয়দানকারী একদল প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে ১৫ হাজার থেকে লাখ টাকায় প্লট আকারে বনভূমির দখল বিক্রি করছে। বনবিট কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বনভূমি বিকিকিনিতে ব্যস্ত এমন অভিযোগ নিকটস্থ সচেতন মহলের। তাই সচেতন মহল প্রথম দিকে প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ সিন্ডিকেট এর হুমকি-ধমকিতে চুপসে যায় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখাযায়, বরইতলী বনবিটের বানিয়ার ছড়া ষ্টেশন সংলগ্ন বনবিট অফিসের পাহাড়ে
গত তিনমাসে নতুন পাকা-আধাপাকা সহ অবৈধ স্থাপনা হয়েছে শতাধীক, নির্মানাধীন রয়েছে অর্ধশত ঘর। আবার নির্মান করা ঘর বিকিকিনি চলছে ডাবল দামে। বনভুমির রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-বনকর্মি ও ভিলেজার নামধারী ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এদের সাথে জড়িত। যার কারনে দিনে দুপুরে জমি দখল বিকিকিনি এখানে ওপেন সিক্রেট। আগেকার দিনে পলিথিনের বেড়া দিয়ে কাজ করলে ও বর্তমানে বনবিভাগ ম্যানেজ থাকায় বাধা দেয়ার কেউ নেই। বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ এলাকার ৪/৫জন প্রভাবশালীর সহয়তায় এসব করছে। তার সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করার পর বললেন তিনি সারারাত ডিউটি করেছেন তিনি অসুস্থ, কোন কথা বলতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন জানায়, বিটকর্মকর্তার গাফিলাতর কারনেই সরকারী বনভুমি বেহাত হচ্ছে।
অপরদিকে ভিলেজারেরা মেপে মেপে করায় গন্ডায় হিসাব করে বনভূমির দখল বিক্রি করেন। টাকা পেলেই বিট কর্মকর্তা খুশি।এভাবে প্রতিদিন চলছে বনভুমি বেচাকেনা বাণিজ্য।
এলাকার সচেতন মহল জানান, বনভুমি রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ জরুরী । অন্যথায় আগামী ২ বছর পর বনবিভাগের দখলে থাকবে না বনভূমি।
পাঠকের মতামত: